যৌনতা, সমাজ ও নিঃসঙ্গ আত্মা: এক গভীর অন্তরযাত্রা।
মানুষের ইতিহাসে যৌনতা কখনো নিষিদ্ধ, কখনো পবিত্র, আবার কখনো বিপ্লবের রসদ হয়ে থেকেছে। যুগে যুগে মানুষ কামনার ছায়ায় নিজের নিঃসঙ্গতা ঢাকতে চেয়েছে। তবে আজকের সময়টা ভিন্ন। আগে যৌনতা ছিল সম্পর্কের অন্তরঙ্গ ভাষা, এখন তা হয়ে উঠেছে সম্পর্কহীন এক চাহিদা। পর্নোগ্রাফির অন্তহীন ভাণ্ডার, চোখের একটুখানি ক্লিকেই পাওয়া শরীরী উত্তেজনা, আর সেইসাথে মানুষের একাকীত্ব সব মিলিয়ে যৌনতা আজ এক অনিয়ন্ত্রিত ঢেউ।
এই ঢেউ কেবল শরীর ছুঁয়ে যায় না, এটি মন, সমাজ, সংসার, অর্থনীতি সব কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আর আমরা, আধুনিক মানুষ, স্রোতের প্রতিকূলে দাঁড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করি "কী এমন হলো, যে মানুষ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারছে না, অথচ শরীর খোঁজার ইচ্ছেটা এত প্রবল হয়ে উঠেছে?"
মানুষ আজ অতীতের চেয়ে বেশি নিঃসঙ্গ। সামাজিকভাবে আমরা অনেক বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, ফলোয়ার নিয়ে ঘেরা থাকলেও আমাদের ভেতরের জীবনটা ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে। বাড়ছে মানসিক বিষণ্ণতা, আত্মবিশ্বাসের সংকট। মানুষ নিজের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। যে কারণে শরীরই হয়ে উঠেছে তার কাছে সহজতম মুক্তির পথ।
আর এই মুক্তিকে সহজলভ্য করেছে প্রযুক্তি। ২৫ মিলিয়নের বেশি পর্নোগ্রাফি সাইট, প্রতিদিন ১১ কোটি মানুষ পর্ন দেখে—এসব সংখ্যার পেছনে লুকিয়ে আছে অগণিত একাকী মানুষের কান্না। যে কান্না কেউ দেখতে পায় না, কেবল ক্লিকের আওয়াজে শুনে ফেলে: "আমি আর কারো হতে পারছি না, তাই চোখের সামনে যা পাচ্ছি, সেটাই আমার পরিত্রাণ।"
এই মুহূর্তে পৃথিবীর অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বিশেষত যুব সমাজ নিয়মিত বা অনিয়মিত পর্নোগ্রাফির গ্রাহক। সহজলভ্যতা, গোপনীয়তা, এবং দ্রুত তৃপ্তির ইঙ্গিত পর্নকে এমনভাবে সামনে এনেছে, যেন এটি কোনও আপদ নয়, বরং ‘স্ট্রেস রিলিফ’-এর সামাজিকভাবে স্বীকৃত উপায়।
কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—এই স্বস্তি কি দীর্ঘস্থায়ী?
পর্ন থেকে চাহিদা জন্ম নেয়, কিন্তু তৃপ্তি নয়। বরং জন্ম নেয় আরো অস্থিরতা। আর এই অস্থিরতা মানুষকে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক থেকেও সরিয়ে দেয়। আমরা দেখতে পাই অনেক দম্পতির সংসারে যৌন আকর্ষণ কমে যায়, কারণ একজনের মন পরিপূর্ণ হয়ে থাকে ভার্চুয়াল উত্তেজনায়। তখন শরীর পাশে থাকলেও মন থাকে পর্দার ওপারে। সম্পর্ক হয় শুষ্ক, স্পর্শ হয় যান্ত্রিক।
যৌনতা কেবল শারীরিক নয় এ একধরনের মানসিক ও আত্মিক সংযোগ, যা ধ্বংস হয় যখন তা কেবল ভোগে সীমাবদ্ধ থাকে।
এইখানেই এসে দাঁড়ায় আরেকটি গভীর প্রশ্ন—মানুষ কি শুধুই শরীর চায়?
না। মানুষ চায় ছুঁয়ে যাওয়া, বোঝা, বিশ্বাস, গ্রহণযোগ্যতা। কিন্তু আজকের অর্থনৈতিক কাঠামোযেখানে প্রতিদিনের জীবনে চাপ, চাকরির অনিশ্চয়তা, দীর্ঘ সময় কাজ করা, পরিবারে সময় না দেওয়াএসবই এক ধরণের বিচ্ছিন্নতা তৈরি করছে। আমরা সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারছি না, কারণ আমরা নিজের সাথেই সম্পর্ক তৈরি করতে শিখিনি।
অনেক সংসার ভেঙে যাচ্ছে, কারণ সেখানে শরীর থাকলেও হৃদয়ের কোনও স্পর্শ নেই। যৌনতা হয়ে উঠেছে বাধ্যতামূলক এক রুটিন, আনন্দ নয়। আর যখন এই রুটিন ব্যর্থ হয়, তখন মানুষ সরে যায়। পর্ন, এক্সট্রা-মেরিটাল অ্যাফেয়ার, টিন্ডারের বায়োতে নতুন করে ‘সোলমেট’ খোঁজা এসব কিছু মিলিয়ে আমরা আজ এক সংবেদনশূন্য মিলনের যুগে বাস করছি।
অর্থনীতি আর সমাজ মিলিয়ে যৌন চাহিদাকে একধরনের পণ্য বানিয়ে ফেলেছে। কোম্পানি বিজ্ঞাপন বানায় শরীর দেখিয়ে, ক্লিকবেইট করে নারীদেহকে সামনে রেখে। বাজার বুঝে গেছে যৌনতাই বিক্রির সবচেয়ে সহজ উপায়। তাই এখন আমরা শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবে যৌনতা দ্বারা চালিত হচ্ছি। একটা আধা-খালি মনের ভেতর বাজার ঢুকিয়ে দিয়েছে কামনার কণ্ঠস্বর।
তবে আশার কথা হলো মানুষ এখনও ভালোবাসা চায়। মানুষ এখনও ভেতরে ভেতরে একটা বন্ধন খোঁজে। সহজিয়া ও বৈষ্ণব দর্শনে বারবার ফিরে আসে এই বার্তা যৌনতা যদি প্রেমহীন হয়, তবে তা পাপ নয়, অর্থহীন। আর যদি প্রেম-স্নেহ-ভক্তির মধ্যে ঘটে, তবে তা পরম তত্ত্বে পৌঁছানোর এক সম্ভাবনাময় পথ।
শুধু শরীর নয়, মন চাই, আত্মিক সংযোগ চাই এই উপলব্ধি থেকেই শুরু হয় মুক্তি।
সেই মুক্তির পথে যেতে হলে প্রথমেই দরকার নিজের অন্তর্জগৎকে চেনা। কী চাও? কী হারিয়েছো? কেন এত বেশি করে শরীর খুঁজছো? এই প্রশ্নগুলোকে হৃদয়ের দরজায় নিয়ে যাও। কেবল তখনই বোঝা যাবে কামনা কোনো দোষ নয়, কিন্তু তার ভুল রূপ আমাদের আত্মাকে শুকিয়ে দেয়।
শেষকথা নয়, শুরু:
যৌনতা যদি প্রেমের ভেতর দিয়ে যায়, তবে তা মুক্তির সিঁড়ি। যদি তা শুধু ভোগে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে তা আত্মার দাসত্ব।
সেই সত্যিকারের মিলনের জন্য দরকার নিজের মধ্যে নামা। দরকার আত্ম-সংলাপ। দরকার ভয় ছাড়া নিজেকে দেখা।
কারণ, আমরা সবাই কাউকে খুঁজি হয় বাস্তবে, না হলে পর্দার ওপারে। কিন্তু কখনো কি খুঁজি নিজেকেই?
রাম নারায়ণ রাম 🙏🔱🙏
#viewersfriendsfollowers #highlights2025 #viralpost2025 #followerseveryone #followersシ゚ #viewers #highlight #PostViral #রোশনি #বাঘিনী
***
শম্পা রায়, আমার প্রিয় একজন কবি, বহুগামিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । বেশ সুন্দর সেই আলোচনা । এ বিষয়ে, এটুকুই সংযোজন করতে পারি, যে, মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই একগামী নয় । একগামিতার ধারণা পুরষের দান । নারীর উপর আধিপত্য বজায় রাখার জন্য এই ধারণা চালু করেছিল পুরুষ ।
এটা আমার কথা নয়, বিজ্ঞানের কথা । 'কনস্ট্রাকশান অব এডাল্ট' গ্রন্থে, গের্টরুড ভোল্ফ বলেছেন, একগামিতার ধারণাও, একদিন, মুছে যেতে পারে ।
বহুগামিতা বা একগামিতাও এক ধরনের সংস্কৃতি । বহুবিবাহ, এ কারণে, বেশ কিছু সমাজের সংস্কৃতি । অপরদিকে, একগামিতাও তাই ।
এটা হরমোনজনিত, বলে, কেউ কেউ আলোকপাত করতে চেয়েছেন । শম্পা অবশ্য নৈতিকতার প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন ।
প্রশ্ন হল, এই নৈতিকতাও পুরুষের অবদান, তারই স্বার্থে, যা মানুষ মান্যতা দিয়ে এসেছে । যৌনতা ও সম্পর্ক নির্ধারিত করে অক্সিটকিন । এটা আর এক দিক ।
একগামিতা বা বহুগামিতা ব্যক্তিগত বিষয়, বলে, কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন । ব্যক্তির স্বাধীনতাকে যদি মান্যতা দিতে হয়, তাহলে প্রেম, ভালোবাসা, যৌনতা, বহুগামিতা বা একগামিতাও ব্যক্তিগত হতে বাধ্য ।
বাকি রইল প্রতারণার বিষয়টি ।
লক বলেছেন, মানুষ প্রতারিত হতে চায় বা হয়ে আনন্দ পায় । এটা ঠিক, প্রতারণা খুব খারাপ । সম্পর্ক এবং বিবিধ ক্ষেত্রে এটা ক্ষতিকারক । বিশেষ করে, ভুক্তভোগীর কাছে এটা ঘৃণ্য ।
বিজ্ঞান দেখেছে, প্রতারণা আনন্দ দেয়, রোমাঞ্চিত করে, রহস্যময় এবং ঘৃন্যও । এটা এক ধরনের ক্যান্সার, যা দূর হবার নয় । মনোবিজ্ঞান থেকে শুরু করে নীতিবিজ্ঞান এ বিষয়ে একমত ।
প্রতারিত হতে কেউ চায় না । তারপরও প্রতারিত হয় মানুষ । যৌনতার ক্ষেত্রে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে । আরও কত ক্ষেত্রে যে প্রতারিত হয় মানুষ ।
শম্পার লেখা আমাকে ভাবিয়েছে । তাকে ধন্যবাদ দিই এ নিয়ে ভেবেছেন বলে ।
***
সে'ক্স ও সফলতা একসাথে চলে না।
তাই কোন অসংযত পুরুষ কখনোই মহান হতে পারে না"।
কিছু পুরুষ সফলতার স্বপ্ন দেখে। কিছু পুরুষ সফলতার জন্য পরিশ্রম করে। আবার কিছু পুরুষ শুরু হওয়ার আগেই তাদের সফলতা ধ্বংস করে ফেলে।
আপনি জানেন কি?❓
অনেক পুরুষের সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি হলো সে'ক্স।‼️
যে পুরুষ ভোগের পেছনে ছুটে, সে কখনোই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। আর যে পুরুষ নিজের ইচ্ছেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে-ই সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে। কেননা সফলতার জন্য দরকার কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। আর যৌন আস'ক্তি সেই নিয়মানুবর্তিতাকে ধ্বংস করে দেয়।
তাই আপনি যদি নিজের কামনাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন,
তাহলে ভবিষ্যতও আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।❗
➤ কঠিন সত্যঃ🛐
1️⃣ ক্ষমতাবান পুরুষ যৌন-বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলে, দুর্বল পুরুষ না বলতে পারে না।
ইতিহাসের সব মহান পুরুষদের একটা বিষয় মিল: তারা ছিল কঠোর নিয়মানুবর্তিতায় অভ্যস্ত।
আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ৩০ বছরের মধ্যেই পৃথিবী জয় করেছিলেন—তিনি মেয়েদের পেছনে সময় নষ্ট করেননি।
এলন মাস্ক সপ্তাহে ১০০ ঘণ্টা কাজ করেন—তিনি মেয়েদের সাথে চ্যাট করে সময় নষ্ট করেন না।
মোহাম্মদ আলী লড়াইয়ের আগে যৌনতা থেকে বিরত থাকতেন—কারণ তিনি জানতেন নিয়ন্ত্রণ মানেই শক্তি।
কিন্তু আজকের অনেক পুরুষ কী করছে?
প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা প'র্ন ও মা'স্টারবে'শনে নষ্ট করছে।
মেয়েদেরকে ইমপ্রেস করতে শেষ টাকা পর্যন্ত খরচ করছে।
একটা মেয়ের জন্য কাঁদছে, ভবিষ্যত গড়ার চেয়ে।
অথচ কোনো মহান পুরুষ কখনোই তার কামনার দাস ছিল না।
2️⃣ যৌ'নতা আপনার শক্তি, মনোযোগ, ও উদ্যম কেড়ে নেয়।
প্রতিবার আপনি "রিলিজ" করলে, আপনি কেবল কয়েক সেকেন্ডের আনন্দ হারান না— আপনি হারান:
টে'স্টোস্টেরন (যা আপনাকে শক্তি ও সাফল্য দেয়)
উদ্যম (জয় পাওয়ার ক্ষুধা)
মানসিক স্থিরতা (মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা)
তাইতো অনেক পুরুষ যৌ'নতার পর ক্লান্ত ও অলস অনুভব করে।
ভাবুন, আপনি যদি প্রতিদিন এভাবে নিজেকে দুর্বল করে ফেলেন— তাহলে আপনি কীভাবে শক্তিশালী হবেন?
3️⃣ মেয়েদের পেছনে প্রতিটি মিনিট মানে নিজের ভবিষ্যৎ থেকে দূরে যাওয়া। প্রতিদিন আপনি কত সময়:
মেয়েদের ছবি স্ক্রল করে কাটান?
ফ্লার্ট ও চ্যাটিংয়ে ব্যয় করেন?
প'র্ন দেখে বা মাস্টা'রবেট করে নিজের শক্তি নষ্ট করেন?
ভাবুন, এই সময়গুলো যদি আপনি ব্যয় করতেন:
উচ্চ আয়ের দক্ষতা শেখায়, নিজের ব্যবসা বা ক্যারিয়ারে, শরীর গঠনে— তাহলে আপনাকে কারো পেছনে ছুটতে হতো না, তারা নিজেরাই আপনার দিকে ছুটে আসত।
4️⃣ ইতিহাস বলে, যৌ'ন দুর্বলতাই অনেক মহান পুরুষকে ধ্বং'স করেছে।
ভেবে দেখুন, ইতিহাসের অনেক শক্তিশালী পুরুষ কীভাবে ধ্বং'স হয়েছে? না যুদ্ধ, না দারিদ্র্য— বরং যৌ'ন দুর্বলতায়।
শিম'শোন (Samson) তার শক্তি হারিয়েছিল ডেলিলার কারণে।
সলো'মন ছিলেন জ্ঞানী, কিন্তু নারীদের কারণে ধ্বং'স হয়েছিলেন।
টাই'গার উ'ডস হারিয়েছেন কোটি কোটি টাকার স্প'নসরশিপ যৌ'ন স্ক্যা'ন্ডালের জন্য।
বিল ক্লিনটনের ক্যারিয়ার পড়ে গিয়েছিল বিপদের মুখে।
অর্থাৎ একজন অসংযত পুরুষ মানে একটি নিশ্চিত বিপর্যয়ের অপেক্ষা।
5️⃣ নারীরা কখনোই এমন পুরুষকে সম্মান করে না যে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না।
আপনি কি ভাবেন, কোনো নারী তার পেছনে ছুটে বেড়ানো একজন পুরুষকে সম্মান করে? না। নারীরা সম্মান করে সেই পুরুষকে যার আছে: লক্ষ্য, আত্মসংযম, বড় কোনো মিশন জীবনে।
যখন আপনি আপনার উদ্দেশ্যে মনোযোগ দিবেন, নারীরাই আপনাকে খুঁজবে।
6️⃣ প'র্ন, মা'স্টারবেশন ও আকস্মিক যৌ'নতা পুরুষদের দুর্বল করে দিচ্ছে। আধুনিক পুরুষ: দুর্বল, অলস, অর্থনৈতিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত— এবং এর মূল কারণ হলো সস্তা আনন্দে আসক্তি।
প'র্ন ধ্বংস করে আপনার মস্তিষ্ক।
মা'স্টারবেশন খেয়ে ফেলে আপনার উদ্যম।
ক্যাজুয়াল সে'ক্স নষ্ট করে আপনার নিয়মানুবর্তিতা।
ফলাফল?⁉️
পুরুষেরা আজ: অনুপ্রাণিত না, আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত, হতাশাগ্রস্ত ও দিকহীন।
7️⃣ যে পুরুষ নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে ভবিষ্যৎও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
আপনি হয়ত বলছেন আপনি ধনী, ক্ষমতাবান ও সফল হতে চান। কিন্তু আপনি কি পারেন:
এক সপ্তাহও সে'ক্স বা প'র্ন ছাড়া থাকতে?
কাজের মাঝে নারীর চিন্তা বাদ দিতে?
প্রতিটি নারী দেখে তার পেছনে না ছুটতে?
যদি নিজের শরীরকেই আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন,
তাহলে এই পৃথিবী আপনি কীভাবে জয় করবেন?
8️⃣ সফল পুরুষ সে'ক্সকে নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যর্থ পুরুষ সে'ক্সের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
সে'ক্স একটি মাধ্যম। দুর্বলরা এটা ব্যবহার করে শুধুই আনন্দের জন্য। শক্তিশালীরা ব্যবহার করে এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য।
সফল পুরুষ জানে কবে, কীভাবে এই চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ব্যর্থ পুরুষ নিজের কামনার গোলাম হয়ে থাকে।
অথচ এই পৃথিবী শাসন করে সেসব পুরুষ, যারা ভোগ নয় বরং নিয়ন্ত্রণকে বেছে নেয়।
9️⃣ নারী আসবে যাবে, কিন্তু সফলতা চিরস্থায়ী।
আজকে আপনি হয়ত ১০০ জন নারীর সাথে আছেন, কালকে তারা একসাথে চলে যেতে পারে। কিন্তু যদি আপনার থাকে: অর্থ, ক্ষমতা, অবস্থান— তাহলে শত শত নারী নিজে থেকেই আসবে।
তাই সফল পুরুষদের নারীর অভাব হয় না, আর দুর্বল পুরুষদের জীবন কাটে পিছনে ছুটে।‼️
🔟 প্রথমে নিয়মানুবর্তিতা, পরে আনন্দ।
সেক্স নিজে খারাপ কিছু নয়। কিন্তু যদি আপনি আনন্দকে উদ্দেশ্যের আগে রাখেন, তাহলে আপনি সবসময় সংগ্রামে থাকবেন। যদি আপনি আত্মসংযম রপ্ত করেন, তাহলে আপনি সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
☞ শেষ কথা:
যদি আপনি ধনী, শক্তিশালী ও সফল হতে চান⁉️ তাহলে প্রথম শিখুন নিজের ভোগের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে।
কারণ শেষ পর্যন্ত…
যে পুরুষ নিজের কামনাকে জয় করে, সে-ই নিজের ভবিষ্যৎ জয় করে। আর যে পুরুষ ভোগের পেছনে ছুটে, সে একদিন সবকিছু হারায়।
***
No comments:
Post a Comment